দুর্নীতির মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের সাজা কেন বাড়ানো হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দুর্নীতির মামলায় এম এ মান্নানের এক বছরের দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছে। এই রুলের শুনানি এবং এম এ মান্নানের করা আপিলের শুনানি আগামী ১১ এপ্রিল একসঙ্গে হবে।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম এ মান্নানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন গত ১৮ নভেম্বর রায় দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে এ মামলার অন্য আসামি গোলাম কিবরিয়াকে খালাস দেয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় এম এ মান্নান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সে সময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত জামিনের আদেশ দেয়।
মামলার এজাহার অনুসারে, এম এ মান্নান গাজীপুরের মেয়র হিসেবে থাকাকালে (২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) ভুয়াভাবে ৯৯৯টা ভাউচারের অনুদান ও ব্যয় দেখিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ত্রাণ এবং দরিদ্র তহবিল থেকে ৪৯ লাখ ১ হাজার ৮৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ কাজে তার সহযোগী ছিলেন সিটি করপোরেশনের তৎকালীন কর্মচারী গোলাম কিবরিয়া।
২০১৬ সালের ২৩ জুন গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় এম এ মান্নান ও গোলাম কিবরিয়ার নামে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক সামছুল আলম।